Skip to main content

কম্পিউটার ভাইরাসের ইতিহাস

কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সব থেকে সমস্যার বিষয়টি হলো ভাইরাস। কম্পিউটর ব্যবহার করেন অথচ ভাইরাসের সমস্যায় পড়েন নাই এইরকম কম্পিউটার ব্যবহারকারী খুঁজে পাওয়া বেশ কষ্ট।কম্পিউটার ভাইরাস মূলত এক রকমের প্রোগ্রাম যা অপারেটিং সিস্টেমের বিভিন্ন কাজে বাঁধার সৃষ্টি করে।কম্পিউটারের ছোট ছোট প্রোগ্রাম যে ‍কিভাবে গতিশীল মানুষের গতিরোধ করে দিতে পারে তার প্রমাণ হচ্ছে কম্পিউটার ভাইরাস।বর্দমানে কম্পিউটার ভাইরাস শুধুমাত্র কম্পিউটারে বসে নেইএটি ছড়াচ্ছে পামটন,মোবাইল ফোন ইত্যাদি ছোট ছোট ভিভাইজগুলোতে।তবে সুখের কথা হচ্ছে এদের রুখতে বিশ্বের বড় বড় প্রোগ্রামাররাও বসে নেই।কিন্তু সেই সাখে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদেরকেও সাবধাণতা অবলম্বন করতে হবে।
virus

ভাইরাস কি
ভাইরাস শব্দটির মূল কথা হচ্ছে Vital Information resource Under Seize. এর প্রথম উচ্চারণ ঘটে জীব বিজ্ঞানে ।সাধারণ ভাষায় কম্পিউটারের নিরাপত্তা অংশকে ভেদ করে যে প্রোগ্রাম কম্পিউটার ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়া তার নিজস্ব কাজ সম্পাদনাসহ নিজেকে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে স্থানান্তরিত করতে পারে তাকে কম্পিউটার ভাইরাস বলা হয়।কম্পিউটার ভাইরাস তৈরি করা হয় প্রোগ্রামিং ল্যাংগুইজ ব্যবহার করে।প্রোগ্রামের মেধার উপর ভিত্তি করে একটি ভাইরাস একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ অপারেটিং সিস্টেমের মত আচারণ করার মত রাখে।যে কারণে কম্পিউটারের বুট লোডার থেকে যখন অনেক ভাইরাস আক্রমণ করে তখন কোন এ্যান্টিভাইরাসেরই কিছু করার থাকে না।
ভাইরাসের উৎপত্তি ও তৈরির কারণ
প্রথম কম্পিউটার ভাইরাস ‘ইল্ক ক্লোনার’ তৈরি হয় ১৯৮২ সালে। সে হিসেবে কম্পিউটার ভাইরাসের বয়স ২৫ বছর। ১৫ বছর বয়সী হাইস্কুলের ছাত্র রিক স্ক্রেন্টা ভাইরাসটি তৈরি করে। অ্যাপল-২ কম্পিউটারে ফ্লপি ডিস্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এটি। ফ্লপি ড্রাইভে কোনো ডিস্ক ঢোকালে ভাইরাসটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাতে ঢুকে যেত। আবার আক্রান্ত ফ্লপি অন্য যেসব কম্পিউটারে ব্যবহার করা হতো ভাইরাসটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেখানেও ঢুকে যেত। প্রতি ৫০ বার কম্পিউটার চালুর সময় এটি মনিটরে একটি কবিতা প্রদর্শন করত। পরবর্তীতে 1985 সালে প্রখ্যাত গবেষক ফ্রেড কোহেন এর নাম দেন ভাইরাস ।
ভাইরাস আক্রমণের বিষয়বস্তু
উইকিপিডয়ার পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ পর্যন্ত মাইক্রোসফটের জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেমে [ও এস]বাইরাসের আক্রমণ হয়েছে সবচেয়ে বেশি।বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হওয়া এই ওএস এ মোট ভাইরাস পাওয়া গেছে 1 লাখ 40 হাজার । একই কোম্পানি পুরনো ও এস এম এস ও এস এ আক্রমণ করে ভিন্ন প্রকৃতির 4 হাজার ভাইরাস।অন্যদিকে শক্তিশালী অধিকতর নিরাপদ অপারেটং সিস্টেম লিনাক্সও বাদ যায়নি ভাইরাসের হাত থেকে।লিনাক্্রে টার্গেট করে এ পর্যন্ত তারা ছাড়িয়েছে প্রায় 30টি ভাইরাস । অ্যাপল কোম্পানির ম্যাক ও এস এ 63 টি ভাইরাস আক্রমণ করে।ভাইরাসের প্রাথমিক বিষয়বস্তু হচ্ছে বাইনারী বা এক্সিকিউটেবল ফাইল বা যেকোন ডেটা ফাইল। এ ছাড়া ফ্লপি ডিস্ক  , হার্ড ডিস্ক মাস্টার বুট রেকর্ড ইত্যাদিও ভাইরাসের টার্গেট।স্ক্রিপ্ট ফাইল যেমন ব্যাচ ফাইল,ডিবি স্ক্রিপ্ট ইত্যাদির মাধ্যমে সহজে বিস্তার করা যায় বলে এরাও ভাইরাসের প্রিয় বিষয়বস্তু ।
দেখে নিই কয়েকটি ভাইরাসের নাম
ইন্টারনেটের দুনিয়ায় বহুধরণের ভাইরাস রয়েছে এদের উৎস, আক্রমণের কৌশল, লক্ষ্য, ক্ষতির ধরণ এর উপর ভিত্তি করে একে কয়েকভাগে ভাগ করা যায় ।নিন্মে কিছু ভাইরাস দেওয়া হল:
  • ইল্ক ক্লোনার ভাইরাস
  • ব্রেইন ভাইরাস
  • মরিস ওয়র্ম ভাইরাস
  • মেলিসা ভাইরাস
  • সায়াডোর ভাইরাস 
  • ম্যাক্রো ভাইরাস
  • ন্যান্সি ভাইরাস
  • পিটিএইচ টুলমিট ভাইরাস
  • পন্টাজিন্ট ভাইরাস
  • বুট সেক্টর ভাইরাস
  • ফাইল সংক্রামক ভাইরাস
  • ট্রজান হর্স ভাইরাস
  • মিউটেটিং ভাইরাস
  • কমান্ড পারপাস ভাইরাস
  • জেনারেল পারপাস ভাইরাস
  • মেমরি রেসিডেন্ট ভাইরাস
  • ম্যাক্রো ভাইরাস
  • কমপেনিয়ন ভাইরাস
  • পলিমরফিক ভাইরাস
  • ওভাররাইটিং ভাইরাস
  • স্টিলথ ভাইরাস ইত্যাদি।
এদের মধ্যে কয়েকটির বর্ণনা দেয়া হল:
ইল্ক ক্লোনার ভাইরাস
প্রথম কম্পিউটার ভাইরাস ইল্ক ক্লোনার তৈরি হয় 1982 সালে ।সেই হিসেবে কম্পিউটার ভাইরাসের বয়স 31 বছর ।
ব্রেইন ভাইরাস
1986সালে ব্রেইন নামে আরেকটি ভাইরাস তৈরি করেন পাকিস্থানের লাহরের দুেই সহোদর বসিত এবং আমজাত ফারুক আলভি ।ব্রেইন হার্ড ডিস্কের বুট সেক্টরকে আক্রান্ত করত । ফলে হার্ড ডিস্ক থেকে ডেটা পায়া যেত না।
মরিস ওয়ার্ম ভাইরাস
রবার্ট মরিস 1988 সালে চাড়েন মরিস ওয়ারম া হার্ডস্কে নিজেকে নিজের অনুরুম কপি তৈরি করে। এটির মাধ্যমে কম্পউটারের মেমরি হ্যাং হয়ে যায় ।বিফল হয়ে যায় 6 হাজার কম্পিউটার।
ম্যালিসা ভাইরাস
প্রচলিত ভাইরাসের মধ্যে প্রথম্ বলতে হবে মেলিসা ভাইরাসের কথা ।ই মেইলের মাধ্যমে ছড়ায় এই ভাইরাস গুলো ।ভূয়া কিছু বিষয়কে ইমেইলে বসিয়ে প্রথমে কিছু মেইলে আসে।1999 সালে মেলিসা ভাইরাসের মাধ্যমে কম্পিউটার ভাইরাসের জগতে এর আসা ।গত বছরের সবচেয়ে আলোচিত ভাইরাস ছিল এটি ।অবৈধ জনতা ,নগ্ন ছবি .ধরণের বিষয়গুলো উল্লেখ ক েমেইল করে বলেই এর নাম করা হয়েছে কামসুত্র ভাইরাস।মেইলটিতে ক্লিক করলেই এটি কম্পিউটারকে আক্রমণ করে বিভিন্ন ফাইলকে corrapted  করে ফেলত ।এটি হার্ড ডিস্কে থাকা  microsoft word  কে নষ্ট করে দিত।আনুমানিক 80 মিলিয়ন ডলার ক্শতি করা এই ভাইরাসের কারণে সেই সময় এন্টি ভাইরাসের বিক্রি বেড়ে যায়।
সায়াডোর ভাইরাস
সায়াডোর ভাইরাস রোস্টোর সিস্টেমসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ টুল যথা টাস্ক ম্যানেজা এবং মান্ড প্রম্পক বিকল করে দেয় ।বিভিন্ন উদ্দেশ্যে administrator এর উক্ত টুলগুলো অন্যান্য ব্যবহারকারীদের জন্য অকেজো করে রাখার ক্ষমতা আছে।ভাইরাস রেজিট্রিকে পরিবর্তন করে দেয়ার মাধ্যমে একই কাজ করে ফলে যখন একজন প্রশাশক কম্পিউটারটি চালান তখন তিনিসহ অন্যান্য ব্যবহারকারী এই টুলগুলো ব্যবহার করা থেকে বঞ্চিত হন।যখন একটি আক্রান্ত টুল ভাইরাসের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়ে যায় দখন তা Task Manager has been disabled by administrator  বার্তাটি দেয়।
ম্যাক্রো ভাইরাস
: যেসব প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশন ম্যাক্রো সাপোর্ট করে তারাই এই ভাইরাসের মূল টার্গেট। এ রকম কয়েকটি প্রোগ্রাম হচ্ছে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল স্প্রেডশিট, পাওয়ার পয়েন্ট, এক্সেস ডেটাবেজ, কোরেল ড্র ইত্যাদি। কতগুলো ধারাবাহিক কম্পিউটার অপারেশন একটিমাত্র নির্দেশের মাধ্যমে সম্পাদন করার জন্য ম্যাক্রো ব্যবহার হয়। ম্যাক্রো সাপোর্টেড ডকুমেন্ট খোলার সাথে সাথে ম্যাক্রো ভাইরাস কার্যক্রম শুরু করে। এরা ফাইল নষ্ট করে।
হক্স : হক্স মানে প্রতারণা। সুতরাং এই ভাইরাসটির কাজও তাই। অনেকে নতুন ভয়ঙ্কর ভাইরাস এসেছে বলে ই-মেইলে গুজব ছড়ায়। এটাকে বলা হচ্ছে হক্স ভাইরাস।
ন্যান্সি
এটি ডায়ালার ধরণের একচট মারাত্মক প্রোগ্রাম । উইন্ডোজ ভিত্তিক সব অপারেটিং সিস্টেমে এটি সংক্রামিত হয়।এটি সংক্রামিত হলে sys-exe, snss.exe, srs9.exe নামে তিনটি exe ফাইল তৈরি হয়িএটি বাঁচাতে হলে কম্পিউটারটি restart করে bios হবার সময় f8 বাটন চেপে অপারেটিং সিস্টেমের মেনুর safe mode অপশন থেকে safe mode চালু করতে হবে।ctrl+A একসাথে চেপে স্থায়ীভাবে Delect করতে হবে। এবার restart দিলে সিস্টেমে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে।
পিটিএইচ টুলমিট
এটি কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রাইভেট তথ্য তার কাছে নিয়ে যায়।এটি কম্পিউটারকে হ্যাশের মাধ্যমে ম্যানুয়ালি ভাইরাসে আক্রান্ত করে।
পন্টাজিস্ট
এটি মূলত ক্ষতি করে ওয়েব ডেভেলাপমেন্টদের । যারা প্রতিনিয়ত remote access এ কাজ করে তাদের জন্য এটি একটি ভয়ংকর প্রোগ্রাম।
বুট সেক্টর ভাইরাস
বুট সেক্টর হাড ডিস্কের একটি অংশ।কম্পিউটার চালু করার পর অপারেটিং সিস্টেম কিভাবে কাজ করবে তা নিয়ন্ত্রণ করে এই বুট সেক্টর। বুট সেক্টর ভাইরাস ভাইরাস ডিস্কের মূল বুট সেক্টরকে নিজের বুট সেক্টরের মাধ্যমে প্রতিস্থাপিত করে দেয় এবং মেমরিতে ভা্বরিাস স্থাপন করে। এই মেমরি হতে অন্যান্য ডিস্কে দ্রুত ভাইরাসে সংক্রামত হয়ে পড়ে। বুট সেক্টর ভাইরাসে সংক্রামিত হলে কম্পউটার অস্বাভাবক বুটং অপারেশন প্রদর্শন করে।
ফাইল সংক্রামক ভাইরাস
কিছু সংক্রামিত কোডই হল ফাইল সংক্রামক ভাইরাস ।এই ধরণের ভাইরাস সাধারণত নিয়ন্ত্রণকারী প্রোগ্রাম বা ড্রাইভার ফাইলকে সংক্রামিত করে।যে সমস্ত ফাইলের বর্ধিতাংশ exe ও com তারাই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।
ট্রজান হস
ট্রজান হস খুবই মারাত্মক । এটা বৈধ বা কার্যকরী প্রোগ্রামে ছদ্দবেশে থাকে।ট্রজান হস দ্বারা আক্রান্ত কোন প্রোগ্রাম চালু করলে কম্পিউটারের ডিস্ক বা ফাইল নষ্ট হয়ে যায় ।এ প্রোগ্রামের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে একটা নির্দিষ্ঠ ফলাফলের দিকে যাওয়া । কখনও এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে ফাইল direct মুছে যায় । কখনও আবার ইহা সমগ্র হাড ডিস্ককে ফরমেট করে ফেলে ।
কমান্ড প্রসেসর ভাইরাস
অপ্রকাশ্য হডেন ফাইল io.sos ও MSDOS.SYS বা IBMBIO.COM ও IBMDOS.COM ফাইল সমূহ এই ভাইরাস দ্বারা নষ্ট করা যায়।বুটিং সিস্টেমে চালু অবস্থায় এই ভা্ইরাস কম্পিউটারে ঢুকিয়ে প্রোগ্রামের বিশেষ ক্ষতি করা হয়।
জেনারেল পারপাস ভাইরাস
এই ভাইরাস বুট সেক্টর ও কমান্ড পারপাস ভাইরাসের ন্যায় গোপন পথে কম্পিউটারে ঢুকে কম্পউটারের ব্যাপক ক্ষতি করে যা দূর করা কষ্টকর।
নতুন ভাইরাস
(mr.guddu)
mr.guddu নামে নতুন একট ভাইরাস ছড়িয়েছে। এই ভাইরাসটি খুবই মারাত্মক ।ভাইরাসটি কম্পিউটারের হাড ডিস্ক থেকে সকল ডাটা মুছে ফেলে।মুছে যাওয়া ফাইল রিকোভারী করা সম্ভব নয় ।কারণ ফাইলগুলি এনক্রিপ্ট করে ফেলে।ভাইরাসটি হাড ডিস্কের প্রতিটি ফোল্ডার থেকে শুধু ফাইলটি মুছে দেয় এবং প্রতিটি ফোল্ডারে একটি টেস্কট ফাইল রেখে দেয়।টেস্কট ফাইলে লেখা just kidding sincerely yours mr.guddu
mr.guddu.bd@gmail.com. 
এবার দেখে নিন কিছু মোবাইল ভাইরাস
COMMWARRIOR
এই ভাইরাসটি ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে প্রথম প্রকাশিত হয় ।এটি মূলত MMS এবং BLUETOOTH এর মাধ্যমে ছড়ায়।কোন মোবাইল আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে এটি অন্যান্য মোবাইলে ছড়াতে থাকে.অন্যান্য মোবাইলে এমএমএস প্রেরণ করতে থাকে।
SKULLS
এই ভাইরাসটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালের ১৯শে নভেম্বর ।এটি মুলত একটি ট্রোজন।এই ভাইরাসটি ছড়ায় মূলত ফোন কলের মাধ্যমে।এই ভাইরাসটি খুবই ভয়ংকর আক্রান্ত হলে ফোনের সকল মেনু কংকালের রুপ নেয়।আক্রান্ত ফোন দিয়ে কোন কিছুই করা যায়না।আক্রান্ত ফোন কখনো রিস্টার্ট করবেন না।
আপনার মোবাইলে যদি ফাইল ম্যানাজার থাকে তাহলে
C:\system\app\appinst
C:\system\app\menu
C:\system\apps\mce
এই ফাইলগুলি ডিলিট করুন তাহলে ভাইরাস চলে যাবে
CABIR
এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৫ই জানুয়ারি ২০০৪ ।এটি শুধুমাএ ব্লুটুথ এর মাধ্যমে ছড়ায়তাই ব্লুটুথ সম্পন্ন মোবাইলে এই ভাইরাস ছড়ায়।এটি প্রথমে ব্লুটুথের মাধ্যমে cribe.sys নামে মেসেজ এ সেভ হয়।এটি ইন্সটল করলেই বিপদ ।ইন্সটল হওয়া মাত্ত এটি অন্যান্য মোবাইলে এটি ছড়ানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠে।আপনি যদি ব্লুটুথ অফ করে রাখেন তবুও এটি নিজে নিজে ব্লুটুথ অন করে অন্যান্য মোবাইলে ছড়াবে।
LOCKNUT
এই ভাইরাসটি অত্যন্ত ক্ষতিকর ভাইরাস।অনেক ক্ষেত্তে মোবাইল চিরতরে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।এই ভাইরাসটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০৫ সালের মার্চ মাসে ।এই ভাইরাসটি আক্রান্ত হলে মোবাইলের রম মেমরি ক্রাশ করে ।
FONTAL
kill saddam by oid500.sis নামের এই ভাইরাসটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০৫ সালে ।এই ভাইরাসে আক্ষান্ত ফোন রিস্টার্ট করা যায়না কারণ এটি বাধা দেয়।তাই আক্রান্ত ফোন রিস্টার্ট করা যাবেনা তাহলে এটি চিরতরে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।এটি মূলত ব্লুটুখের মাধ্যমে ছড়ায় ।
উপরের ভাইরাস গুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্তে নোকিয়া স্মার্ট ফোন গুলোতে বেশি ছড়ায়।তাই সাবধান থাকুন এবং বুঝে শুনে ফাইল ইন্সটল করুন।আশা করি আপনাদের উপকার হবে
ভাইরাস যেভাবে ছড়ায়
সবচেয়ে বেশি ভাইরাস ছড়ায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে। ই-মেইলের মাধ্যমে খুব সহজে এবং দ্রুত ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। ২০০০ সালে গোটা বিশ্বে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী লাভবাগ ভাইরাস ই-মেইলের মাধ্যমেই ছড়ায় মাত্র এক দিনে। ইন্টারনেট থেকে কোনো প্রোগ্রাম, ফাইল, সফটওয়্যার ডাউনলোড করার সময় কম্পিউটারে ভাইরাস চলে আসতে পারে। এ ক্ষেত্রে ডাউনলোড করা সফটওয়্যারে ভাইরাস লুকিয়ে থাকে। নেটওয়ার্ক সিস্টেমে কোনো কম্পিউটার আক্রান্ত হলে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত অন্য কম্পিউটারেও ভাইরাস ছড়াতে পারে। এ ছাড়া ফ্লপি ডিস্ক, সিডি, ইউএসবি ড্রাইভের মাধ্যমেও ভাইরাস ছড়ায়। বিশ্বের প্রথম ভাইরাসটি ফ্লপি ডিস্কের মাধ্যমে ছড়ায়। ইদানীং পেন ড্রাইভ, এমপি-থ্রি’র প্রচলন বেশি হওয়ায় এদের মাধ্যমেও ভাইরাস ছড়াচ্ছে।
আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু
উইকিপিডিয়ার পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ পর্যন্ত মাইক্রোসফটের জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেমে [ওএস] ভাইরাসের আক্রমণ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হওয়া এই ওএস -এ মোট ভাইরাস পাওয়া গেছে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৪০ হাজার। একই কোম্পানি পুরনো ওএস এমএস ওস -এ আক্রমণ করে ভিন্ন প্রকৃতির ৪ হাজার ভাইরাস। অন্য দিকে শক্তিশালী, অধিকতর নিরাপদ অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্সও বাদ যায়নি ভাইরাসের হাত থেকে। লিনাক্সকে টার্গেট করে এ পর্যন্ত তারা ছেড়েছে প্রায় ৩০টি ভাইরাস। অ্যাপল কোম্পানির ম্যাক ওএস -এ ৬৩টি, এমবেডেড ওএস সিম্বিয়ানে ৮৩টি ভাইরাস আক্রমণ করে। ভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে বাইনারি বা এক্সিকিউটেবল ফাইল যেমন .পড়স, .বীব, .ংুং, .নরহ, .ঢ়রভ, .বষভ বা যেকোনো ডেটা ফাইল। এ ছাড়া ফ্লপি ডিস্ক, হার্ডডিস্ক, মাস্টার বুট রেকর্ড ইত্যাদিও ভাইরাসের টার্গেট। স্ক্রিপ্ট ফাইল যেমন ব্যাচ ফাইল, ডিবি স্ক্রিপ্ট, শেল স্ক্রিপ্ট ইত্যাদির মাধ্যমে সহজে বিস্তার করা যায় বলে এরাও ভাইরাসের প্রিয় লক্ষ্যবস্তু।
ভাইরাস আক্রমণের ফলে কম্পিউটারের ক্ষতি সমূহ
বিশ্বের বিভিন্ন স্থান হতে প্রতিনিয়ত যেসব নতুন ভাইরাস সৃষ্টি করা হচ্ছে তাদের আক্রমণের কৌশল ও ধারা এক নয় । এক একটি ভাইরাস এক এক ধরণের ক্ষতি করে থাকে ।অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতির পরমাণ এত বেশ হয় যে তা কোন ভাবেই পরিমাপ করা যায় না ।নিচে ভাইরাস আক্রমণের ফলে কম্পিউটারের কিছু ক্ষতি উল্লেখ করা হলো
l  কম্পিউটারের হাডওয়্যার নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
l  হাডডিস্কের সকল ডেটা মুছে যেতে পারে।যেমন অনেক সময় হাড ডিস্কের পাটিশান নষ্ট করে ফেলে ফলে সকল ডেটা হারিয়ে যায়।
l  হাড ডিস্কে bad sectors দেখাতে পারে।
l  exe ফাইলের আকারের পরিবর্তন হতে পারে ।
l  ফাইল, তারিখ ও সময়ের অপ্রত্যাশত পরিবতন ঘটাতে পারে।
l  ফ্রি মেমরির পরমাণ কম দেখাতে পারে।
l  হঠাৎ করে error message দেখাতে পারে।
l  কোন প্রোগ্রাম স্বাভাবিক লোডের সময়ের চেয়ে বেশি সময় নিতে পারে।
l  ডিস্ক ভলিয়মের নামের পরিবর্তন হতে পারে।
ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায়
ভাইরাস থেকে বাঁচার সহজ উপায় হচ্ছে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা। স্পাইওয়্যারের জন্য অ্যান্টিস্পাইওয়্যার, স্প্যামের জন্য অ্যান্টিস্প্যাম। অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারের বিভিন্ন ডেমো ভার্সন পাওয়া যায়। ইন্টারনেট থেকে এগুলো বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়। তবে সমস্যা হচ্ছে অনেক ডেমোভার্সন নির্দিষ্ট সময় পর আর কাজ করে না। কোনো কোনো কোম্পানি আবার ফিন্স সংস্করণও দেয়। এগুলো নির্দিষ্ট সময় পর নিûিক্রয় হয় না। তবে নতুন ভাইরাস এলে অ্যান্টিভাইরাস আপডেট না করলে ভাইরাস ধরা যায় না। ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হয়ে যায়। এ ছাড়াও ওয়েবসাইট থেকে আপডেট ফাইল ডাউনলোড করেও ইনস্টল করা যায়। সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট তাদের ‘উইন্ডোজ লাইভ ওয়ান কেয়ার’ অ্যান্টিভাইরাসটি ৯০ দিনের ফিন্স ভার্সন দেয় যা তাদের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যায়। এ ছাড়া ম্যাকআফি, এভিজি, সিমেনটেক ইত্যাদি কোম্পানিও ডেমো, ফিন্স ভার্সন দেয়। ভাইরাসের আক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে অ্যান্টিভাইরাস কোম্পানির সংখ্যা। অনেক অ্যান্টিভাইরাস কোম্পানি ভাইরাস নির্মাতাদের চাকরি দেয়। কারণ সে ভাইরাসের খুঁটিনাটি জানে ফলে এর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্খা নিতে পারে সে। কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকা যায়­ নিয়মিত হার্ডডিস্ক অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করা। অপরিচিত ফাইল বা সন্দেহজনক ফাইল না খোলা। ই-মেইলে সংযুক্ত কোনো ফাইল নিশ্চিত হয়ে খোলা। অপরিচিত ব্যক্তির পাঠানো ফাইল না খোলা। ইন্টারনেট থেকে কোনো ফাইল বা সফটওয়্যার ডাউনলোড করার আগে দেখে নেয়া যে, সাইটটি বিশ্বস্ত কি না। ডাউনলোড করা ফাইল খোলা বা সফটওয়্যার ইনস্টল করার আগে অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করা। গুরুত্বপূর্ণ ফাইলের ব্যাকআপ রাখা বা সিডিতে সংরক্ষণ করে রাখা। ডায়ালআপ কানেকশনের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের পর সংযোগ খুলে রাখা। নিয়মিত অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার আপডেট করা। কোনো ই-মেইলকে ভাইরাস মনে হলে অ্যান্টিভাইরাস কোম্পানিকে সেটা পাঠানো যায়। অবশ্য এ ক্ষেত্রে তাদের সফটওয়্যারের ক্রেতা হতে হবে। নতুন ভাইরাস এবং তাদের ক্ষতিকর প্রভাব সম্বìেধ সচেতন থাকা। সিস্টেম রিস্টোর বা অপারেটিং সিস্টেম নতুন করে ইনস্টল করেও ভাইরাস দূর করা যায়। কিছু ভাইরাস আছে যারা সিস্টেম রিস্টোর এবং অপারেটিং সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেমন টাস্ক ম্যানেজার বা কমান্ড প্রম্পট নিûিক্রয় করে দেয়। যেমন সিয়াজের ভাইরাস। তখন নতুন সেটআপ ছাড়া উপায় নেই।
অ্যান্টিভাইরাস যেভাবে কাজ করে
দু’টি কৌশলে কাজ করে অ্যান্টিভাইরাস : ১. প্রতি অ্যান্টিভাইরাসের একটি ভাইরাস ডিকশনারি থাকে। সেখানে পরিচিত ভাইরাসের বিবরণ থাকে। সফটওয়্যারটি ফাইলের সাথে ভাইরাস ডিকশনারিতে রক্ষিত বিবরণ মিলিয়ে দেখে। মিলে গেলে এটাকে ভাইরাস হিসেবে চিহ্নিত করে ব্যবস্খা গ্রহণ করে। এই পদ্ধতির সমস্যা হচ্ছে নতুন ভাইরাস ধরা যায় না। ২. দ্বিতীয় পদ্ধতিটি ভাইরাসের সাধারণ বৈশিষ্ট্য, কোনো প্রোগ্রামের সন্দেহজনক আচরণ শক্তিশালী এলগরিদমের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে। ডেটা বিশ্লেষণ, পোর্ট মনিটরিং এবং অন্যান্য কৌশলে কাজ করে এই পদ্ধতিটি।
ভাইরাস তৈরি কোনো বৈধ কাজ নয়। এটি এক ধরনের সাইবার অপরাধ। এই অপরাধ দমনের লক্ষ্যে তৈরি হয়েছে সাইবার আইন। তবুও থেমে নেই ভাইরাস প্রোগ্রামাররা। নিত্যনতুন ভাইরাস ছাড়ছে তারা। বসে নেই অ্যান্টিভাইরাস কোম্পানিগুলো। ভাইরাসের সাথে পাল্লা দিতে তারাও ছাড়ছে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারের আধুনিক সংস্করণ। ভবিষ্যৎ ভাইরাসের গতি-প্রকৃতি, আচরণ চিহ্নিত করতে চালাচ্ছে গবেষণা। ভয়ঙ্কর এই কম্পিউটার ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে হলে প্রতিরোধের পাশাপাশি দরকার সচেতনতা তৈরি করা এবং অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা ।
দেখে নিন কয়েকটি জনপ্রিয় এন্টিভাইরাস
  • Avast antivirus
  • Mcafee antivirus
  • Avira antivirus
  • Eset antivirus
  • Kaspersky Antivirus
  • G data antivirus
  • Norton Antivirus

Comments

Popular posts from this blog

10 Awesome Things Google Can Do For You | Part 1 | Mehedi Live

Google is an awesome platform for us. Because it's has so many things which we can use in our daily life. And these things can make our life easier. Take a look 10 awesome things of Google. #01. You can use Google as a timer #02. It can give you the exact times for sunrise and sunset. #03. You can get the weather forecast of any city just by typing the city followed by “forecast.” #04. You can calculate exact tip amount for your meals. You can also adjust the percentage and number of people dining. #05. Calculator #06. You can check your flight status. #07. Make Google do tricks for you. ** **Type the words “do a barrel roll” and watch what happens… #08. Google can tell you when your favorite show is on… #09. Google can tell you when the release date for a movie is. #10. Type “Atari Breakout” into Google images for a nostalgic blast from the past. Enjoy Google for your daily life. Part 2 is coming very soon...

Iron Man's Arc Reactor Based Boot Animation in Photoshop CC 2014/2017 HD

Iron Man's Arc Reactor Based Boot Animation in Photoshop CC 2014/2017 HD http://www.dailymotion.com/video/x5yj57q

Speed Up slow USB

Step 1:   Open up “My Computer”. Step 2:   Right-Click your desired Flash drive, then select “Properties” from the popup window. Step 3:  Find and click the “Hardware” tab. Step 4:   Select your USB drive again from the list of available drives. Step 5:   Once your drive is selected, hit the “Properties” button near the lower-right corner of your menu. Step 6:   Click on the “Policies” Tab. Step 7:   Select “Optimize for Performance”. Step 8:   Click “OK” to finish the optimization. All we have done so far is tell your computer how you want to handle the USB Drive. In order to achieve much faster speeds, we need to actually format the USB drive. Note: Before you format your USB drive, BACKUP all your files on the USB drive. Formatting will permanently erase all your files on the drive!